ছয় দফা দাবি আদায়ে রোববার সকালে অবস্থান কর্মসূচির পর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আন্দোলন স্থগিত করে বাড়ি ফিরে যান তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রায় সবাই আর্থিক সংকটে রয়েছেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত সেমিস্টারে ২০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করে নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি আরও তীব্রতর হওয়ার আশঙ্কা শুরু হলে কোনো নোটিশ ছাড়াই এ সুবিধা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার নানা মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ছয় দফা দাবি আদায়ে সকাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। বিকেলে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভিসি স্যারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে দাবি মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলে জানান। বাধ্য হয়ে তাই ভিসিসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
তারা জানান, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আবারও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেবেন। বিকেল পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেয়া হলে সন্ধ্যায় সব গেটে অবস্থান নিয়ে অবরুদ্ধ করে দেয়া হবে।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করার পর এক অনুষদ সদস্য নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তার মিথ্যা আশ্বাস আমরা মেনে নেইনি। উপাচার্য এসে সুনির্দিষ্টভাবে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাব।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ২০ শতাংশ টিউশন ফি ওয়েভার, কোটা এবং ফলাফলের ওপর প্রাপ্ত ওয়েভারের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ যুক্ত, অর্থনৈতিক সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শতভাগ ওয়েভার প্রদান, সেমিস্টার ফির সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করা এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা।