নতুন আইন অনুযায়ী, মাংস খাওয়ার জন্য কুকুর লালন-পালন করা যাবে না। এছাড়া নিষিদ্ধ থাকবে এটির মাংস ক্রয়-বিক্রয়ও। যারা এ আইন ভঙ্গ করবেন তাদের জেলে পাঠানো হবে।
যারা কুকুর জবাই করবেন তাদের কয়েক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আর যারা মাংসের জন্য কুকুর লালন-পালন করবেন তাদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে কুকুরের মাংস খাওয়া অবৈধ হবে না। কুকুরের মাংস খাওয়ার যে পুরোনো রীতি ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায় সেটি অনেকটাই কমে গেছে। বিশেষ করে তরুণরা কুকুরের মাংস বর্জন করেছে।
নতুন আইনটি কার্যকরের আগে কুকুর খামারি ও রেস্তোরাঁর মালিকদের তিন বছরের সময় দেওয়া হয়েছে। যেন তারা আয় ও কর্মের বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে পারেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে তাদের নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা নিয়ে জানাতে হবে।
কুকুর লালন-পালন, বিক্রি ও জবাইয়ের ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত— তারা ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার পর তাদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। তবে কী ধরনের সহায়তা করা হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংষ খাওয়া নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে অনেক সরকার। তবে এ বিষয়ে তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং ফার্স্ট লেডি কিম কেওন হি পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। এই দম্পতির ৬টি পোষা কুকুর ও ৮টি বিড়াল রয়েছে। ফলে ইউন সুক ইওলের আমলে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ নিয়ে আন্দোলন আরও জোরদার হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই