তাদের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর মঙ্গলবার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি বুধবার (২১ অক্টোবর) রায়ের জন্য রাখে।
দুই ভাইয়ের জামিন প্রশ্নে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। এরপর ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি গতকাল শেষ হয়। আদালত দুদকের পক্ষে রুল শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, এ আসামি দুজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাদের জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত সব পক্ষকে শুনানি শেষে বুধবার রায়ের জন্য রেখেছে। গত ১৫ জুন পৃথক মামলায় এ দুই ভাইয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন ঢাকার মহানগর সি?নিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর তারা হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রূপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে সিন্দুক ভর্তি টাকা ও গহনা জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম এবং এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সব মিলিয়ে ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার এবং ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব।
এরপর দুদক তাদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৩ অক্টোবর ৩৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর মধ্যে এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। সেই এজাহারে বলা হয়, এনু ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
আর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তাতে ‘অসৎ ও অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে’ ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।