মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেসিস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসিস সফটএক্সপোর ১৬তম আসর উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
এ সময় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রসারণে এ এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। এতে তিনশরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। দেশে সফটওয়্যারের নিজস্ব চাহিদা পূরণে সক্ষমতা প্রদর্শন ও আস্থা তৈরি এ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য। সফটএক্সপোতে ৩০টির বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রদর্শনীতে দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য থাকছে বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজে করতে পারবেন। এ বছর সুইডেন, জাপান, নেদারল্যান্ডস থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশনে অংশ নেবে। পাশাপাশি অন্য খাত থেকে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সফলভাবে বিটুবি সেশন সম্পন্ন করা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে শীর্ষ ১০টিকে বেসিস টপ টেন ডিজিটাল রেডি কোম্পানির সম্মাননা প্রদান করবে।
বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-তে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প। এছাড়া ৪৫টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইনোভেটিভ প্রজেক্ট শো-কেসিং ব্যবস্থা রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রথম তিনটি ইনোভেটিভ প্রজেক্টকে পুরস্কৃত করা হবে। অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং কনফারেন্স। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অংশগ্রহণে সিএক্স লিডারশিপ মিট। প্রদর্শনীতে কনসার্টেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বেসিস সফটএক্সপো-২০২০ এর আহ্বায়ক এবং বেসিসের সহসভাপতি মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রদর্শনী এলাকা ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ৪ দশমিক শূন্য জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন, উইম্যান জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশী-বিদেশী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
ডিবিবিএলের সিটিও আবুল কাশেম খান বলেন, স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিরলস অবদানের কারণেই। বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনের মূল লক্ষ্য স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তুলে ধরা। পাশাপাশি এবার তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অংশগ্রহণ থাকছে। এবারের বড় পরিসরে আয়োজিত বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-এ প্লাটিনাম পার্টনার হিসেবে থাকছি আমরা।
বেসিস সফটএক্সপো ২০২০ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর ছাড়াও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহসভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহসভাপতি (অর্থ) ও বেসিস সফটএক্সপোর আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, পরিচালক দিদারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।