‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে বাম ধারার সংগঠনগুলোর এই কর্মসূচি চলছে। ৯ দফা দাবির মধ্যে আছে গত শনিবার দুপুরে ফেনীতে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে লংমার্চে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা এবং পাহাড়-সমতলে অব্যাহত নারী ধর্ষণের বিচার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ।
অবরোধের কারণে পল্টন থেকে কাঁটাবন ও শাহবাগ থেকে বাংলামোটর অভিমুখী মূল সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তৈরি হয় তীব্র যানজট, যদিও পাশের সরু রাস্তা দিয়ে কিছু গাড়ি চলছে।
অবরোধ শুরুর আগে বামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সেখানে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ‘ব্রিটিশেরা চলে যাওয়ার পর পাকিস্তানিরা আমাদের অধিকার হরণ করেছে। বাংলাদেশ আমলেও তা-ই চলছে। নারী-পুরুষসহ সব মানুষের ওপর এখন নিপীড়ন চলছে। এই রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে ধর্ষক ও বিচারহীনতার। একে আমরা উৎখাত করব।’
এ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি সৈকত আরিফ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কাঁটাবন মোড় ঘুরে এসে শাহবাগ মোড়ের রাস্তা আটকে অবস্থান নেন বামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে এখন তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।
সমাবেশের ফাঁকে ফাঁকে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণ ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।