প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন বেইজিংয়ের প্রতি দুর্বল– নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প এমন চিত্রই ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।
ট্রাম্প এতদিন দাবি করে আসছিলেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে জো বাইডেনের ছেলে হান্টার চীন ও ইউক্রেনে ব্যবসায়িক সুবিধা নিয়েছেন। যদিও তার এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ ছিল না।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম নির্বাচনকালে চীনে ট্রাম্পের একটি অফিস ছিল। এমনকি দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বড় কোম্পানিরও অংশীদার ছিলেন তিনি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটিতে একটি ব্যাংক হিসাবও চালাচ্ছিলেন তিনি, যা নিয়ন্ত্রণ করত ট্রাম্পের ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ম্যানেজমেন্টস কোম্পানি।
ট্রাম্পের করের নথি ঘেঁটে এমন তথ্য পাওয়ার দাবি নিউইয়র্ক টাইমসের। এ ছাড়া ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডেও ট্রাম্পের ব্যাংক হিসাব আছে। অর্থাৎ নিজ দেশের বাইরে ট্রাম্পের মাত্র তিনটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যকার সময়ে চীনে লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টাকালে এক কোটি ৮৮ লাখ ৫৬১ ডলার কর দিতে হয়েছে ট্রাম্পের কোম্পানিকে।
ট্রাম্প সংস্থার আইনজীবী অ্যালান গার্টেন বলেন, স্থানীয় কর পরিশোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রে অফিস আছে, এমন একটি চীনা ব্যাংকে হিসাব খুলেছিল তার কোম্পানি। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে তাতে কোনো লেনদেন কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। অফিসটিও নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে।
তিনি আরও বলেন, যদিও ব্যাংক হিসাবটি খোলা হয়েছে। কিন্তু অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হয়নি।