মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ১৩ দিন আগে এমন তথ্য জানাল দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দার কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করতে ইরানের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে হুমকি দিয়ে ভোটারদের কাছে ছদ্মবেশে মেইল পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, ডেমোক্রেটিক ভোটারদের হুমকি দেওয়া ইমেইল পাঠানোর জন্য দায়ী ইরান।
জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক র্যাটক্লিফ বলেছেন, ইমেইলগুলো একটি ডানপন্থী ট্রাম্প-সমর্থক গোষ্ঠীর কাছ থেকে এসেছে বলে মনে হয়। অশান্তি উসকে দেওয়ার জন্য ইমেইলগুলো পাঠানো।
নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে গোয়েন্দাদের এই ‘অস্বাভাবিক’ ব্রিফিংকে বিদেশি ক্রীড়নকদের ভোটে হস্তক্ষেপ ও ভুয়া তথ্যের প্রচার নিয়ে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের বিষয়টি সামনে এল।
র্যাটক্লিফ বলেছেন, ইরানের পাঠানো ছদ্মবেশী মেইলগুলো ‘প্রাউড বয়েজ’ নামে পাঠানো হয়েছিল। এসব মেইল মূলত ভোটারদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি অশান্তি সৃষ্টি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষতি করতে পাঠানো হয়েছিল। নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে ভুয়া তথ্য পাঠাতে নিবন্ধন তথ্য ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে এসব ইমেইল পাঠানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্যে ভোটারের তথ্য অনুরোধের ভিত্তিতে পাওয়া যায়। যদিও ভোটার তথ্যের জন্য কে অনুরোধ করতে পারে, কোন তথ্য পাওয়া যাবে বা কীভাবে এই তথ্য ব্যবহার করা হবে, তার জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর নিয়ম ভিন্ন।
ভোটারদের উদ্দেশে র্যাটক্লিফ বলেছেন, কেউ যদি ভয় দেখানো বা হস্তক্ষেপমূলক ইমেইল পান, তবে ভয় পাবেন না বা মেইল ছড়াবেন না। এটি মার্কিন ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিরোধীদের মরিয়া প্রচেষ্টা।
র্যাটক্লিফের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার রেও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন নির্বাচনব্যবস্থা এখনো সুরক্ষিত ও স্বাভাবিক।’
মার্কিন ভোটার তথ্য কীভাবে অন্য দেশের হাতে গেল এবং রাশিয়া এই তথ্য নিয়ে কী করছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
২০১৬ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলে, ক্রেমলিন-সমর্থিত হ্যাকারেরা ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টায় ছিল। তারা সাইবার আক্রমণ ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, ফ্লোরিডাসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের কাছে হুমকি দিয়ে যে মেইল গেছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘ভোটের দিন ট্রাম্পকে ভোট না দিলে আমরা আপনাকে দেখে নেব।’
গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৪ কোটি মার্কিন নাগরিক আগাম ভোট দিয়েছেন।