অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের পুঁজি নগদ টাকা নয়; বরং বিশ্বাস। রাস্তা হারানো যাবে না, গন্তব্য ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে। ফেল করবে না পদ্মা ব্যাংক; এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। জাতীয় সংসদেও এই কথা বলেছি আমি। ব্যাংকের প্রতিটি কর্মী এক একজন লড়াকু সৈনিক, তারা জিতবেই। পদ্মা ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা তৈরি করতে পেরেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে আসবে পদ্মা ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরু।
চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় পদ্মা ব্যাংক।আর এ জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ।ধন্যবাদ জানাই গ্রাহকদের, যারা আস্থা রেখেছেন আমাদের উপর।
ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরু বলেন, ২০১৮ সালে ব্যাংকের ঋণ পুনঃতফসিলের পরিমাণ ছিল ৩৭৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটি টাকায়।২০২০ সালে এর পরিমাণ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে বলে জানান তিনি।২০২০ সালে আমরা ৪০৫ কোটি টাকা ক্যাশ রিকভারি করতে চাই। বর্তমানে ব্যাংকের অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও আগের তুলনায় অনেক ভালো। ২০২০ সালের মধ্যে এডিআর ১০০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনাসহ ব্যাংকিং খাতের সেরা ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এহসান খসরু।
অনুষ্ঠানে আমানত সংগ্রহ ও রিকভারিতে সাফল্য অর্জনকারী ১১ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারমান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন আহমেদ, আইসিবির চেয়ারম্যান মজিব উদ্দিন আহমদ, পদ্মা ব্যাংকে পরিচালক হাসান তাহের ইমাম, তামিম মারজান হুদা, সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান, জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুস সালাম আজাদ, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম এবং রূপালী ব্যাংকের এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।
দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে 'পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পায় পদ্মা ব্যাংক।ব্যাংকটির মূল মালিকানায় রয়েছে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবি। ৫৭টি শাখার মাধ্যেমে ব্যাংকটি গ্রাহকদের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।