চলমান ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের মধ্যে ভারতের বৃহত্তম গ্যাস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পেট্রোনেট এলএনজি ও কাতার এনার্জি এই চুক্তি নবায়নপত্রে সই করেছে। প্রাথমিকভাবে এই চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৮ সালে। চুক্তির মেয়াদে ভারত কাতার থেকে আনুমানিক ৭৫ লাখ টন এলএনজি আমদানি করবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
ভারত তার চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস আমদানি করে। তারা যত গ্যাস আমদানি করে, তার ৩৫ শতাংশই করে কাতার এনার্জির কাছ থেকে। ২০০৩-০৪ সাল থেকে কাতার এনার্জি ভারতের কাছে এলএনজি বিক্রি করছে। এই গ্যাসের দাম দুইভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমত, একটি মূল্য কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছিল এভাবে যে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলে ১ ডলার করে বাড়লে এলএনজির দাম ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ হারে বাড়বে। সেই সঙ্গে প্রতি এমএমবিটিইউ গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫২ সেন্ট।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্র জানিয়েছে, নতুন চুক্তিতে এই নির্ধারিত মূল্যের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে, যদিও কাঠামো প্রায় একই রকম আছে। বিদ্যমান চুক্তিতে গ্যাস পরিবহনের দায় ক্রেতার ওপর থাকলেও নতুন চুক্তিতে ভারতের এই পয়সা বেঁচে যাবে। কারণ, এখন থেকে ভারতের নির্ধারিত বন্দরে এই গ্যাস পৌঁছে দেবে কাতার এনার্জি। এতে ইউনিটপ্রতি ভারতের শূন্য দশমিক ৮ ডলার বেঁচে যাবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে বলা হয়েছে, নতুন এই চুক্তির ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে, জ্বালানির বিশ্ববাজারে ভারতের প্রভাব কতটা বেড়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে ভারতের অবস্থান গ্যাসের বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। সে কারণে তারা দীর্ঘ আলোচনা শেষে এ ধরনের কঠোর দর-কষাকষি করতে পেরেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                