বছরওয়ারি ওই পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জ্বালানি জায়ান্ট কোম্পানিটি জানায়, ২০২৩ সালে এলএনজির বৈশ্বিক বাণিজ্য আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৪০ কোটি ৪০ লাখ টনে উন্নীত হয়েছিল। এ সময় জ্বালানিটির গড় দাম এবং বাজার অস্থিতিশীলতাও ছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ফলে বাধাগ্রস্ত হয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি।
বিশ্বের নেতৃস্থানীয় এলএনজি কোম্পানিটি আরো জানায়, এখনো জ্বালানিটির সরবরাহ সংকোচনের মধ্যে রয়েছে। বিপরীতে অব্যাহত বাড়ছে চাহিদার চাপ। কারণ শীর্ষ সরবরাহকারী রাশিয়া ইউরোপের বাজারে এলএনজি রফতানি কমিয়ে দিয়েছে। এতে অন্য দেশ থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হচ্ছে এসব দেশকে, যা এশিয়ার মতো শীর্ষ আমদানিকারক অঞ্চলের সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।
এদিকে গত বছর বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদাও লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। শিল্পসংশ্লিষ্টদের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৪০ সাল নাগাদ প্রতি বছর জ্বালানিটির বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়াতে পারে সাড়ে ৬২ থেকে সাড়ে ৬৮ কোটি টনে।
শেল এনার্জির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৩ সালে শীর্ষ এলএনজি আমদানিকারক দেশগুলোর তালিকায় জাপানকে পেছনে ফেলে ফের শীর্ষে উঠে আসে চীন। আগামী বছরগুলোয় দেশটি এ অবস্থান আরো শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধিতেও প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা রাখবে দেশটি।
এশিয়ার দেশগুলোয় ৫-১০ বছরের মধ্যে এলএনজির চাহিদা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি দশকের শেষ দিকে বেশকিছু নতুন সরবরাহ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। এগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে অঞ্চলটি বাড়তি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                