এশিয়া থেকে ইউরোপে পণ্য বাণিজ্যের সবচেয়ে দ্রুততম পথ সুয়েজ খাল রুট। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশই এ পথে সম্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে লোহিত সাগরে চলমান সংঘাতের প্রভাবে পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গত বছরের শেষ দিকে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। তখন থেকেই লোহিত সাগরে সংঘাত চলছে। এ সংঘাতে সম্প্রতি সরাসরি জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক হামলা-পাল্টা হামলায় বাণিজ্যিক রুটটি দিয়ে সিংহভাগ পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে এসব জাহাজকে পাড়ি দিতে হচ্ছে লম্বা পথ। লোহিত সাগর রুটে পণ্য পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে এখন ইউরোপে যাতায়াত করতে হচ্ছে গোটা আফ্রিকার দক্ষিণ ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ আটলান্টিক উপকূল ঘুরে। এতে ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ ও সময়।
কমিশনার জানান, পণ্য পরিবহন ও বাণিজ্যের দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম এ পথে যে সংকট চলমান তাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে দীর্ঘমেয়াদে পরিবহন বাধাগ্রস্ত হলে পণ্যের দাম বাড়বে।
অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তৎপর ইয়েমেন-ভিত্তিক হুথি বিদ্রোহীরা। গোষ্ঠীটি এখন পর্যন্ত লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোয় কয়েক ডজন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর প্রভাবে অনেক বড় শিপিং কোম্পানি সুয়েজ খাল ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। হামলার কারণে গত মাসে বিশ্বব্যাপী কনটেইনারে পণ্য পরিবহনের গড় দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে গত মাসে ইইউভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কার্গো জাহাজ রক্ষায় লোহিত সাগরে একটি নৌ মিশন চালুর জন্য অস্থায়ী চুক্তিও করেছেন। নেদারল্যান্ডসের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপের প্রস্তাব করে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি। হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় নেদারল্যান্ডসের সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই