সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর মোট ৬৩ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৪ অক্টোবর বরগুনা শিশু আদালত এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন। এই ১৪ আসামির মধ্যে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে সাত আসামি।
এই রায় নিয়ে নিহত রিফাত শরীফের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক যে রায় দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এবারের রায়েও প্রকৃত অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে এবং নির্দোষরা খালাস পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘এই মামলায় ৭৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে সাক্ষ্য-প্রমাণ আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি তাতে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রিফাত শরীফ।
পরে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামি এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।