ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তুলা রফতানিকারক। ২০২২-২৩ মৌসুমে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) সেখানে পণ্যটির রফতানি রেকর্ড সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল। রফতানির পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৫০ হাজার বেল (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি)। তুলার বৈশ্বিক দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকলে চলতি মৌসুমে রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) বর্তমানে দেড় বছরের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে তুলা। ভবিষ্যতে দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনায় বিনিয়োগকারীরা তুলার সরবরাহ চুক্তির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। উদ্দেশ্য বাজার থেকে বাড়তি লাভ তুলে নেয়া। বিষয়টি সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধিতে প্রধান প্রভাবকের কাজ করেছে। পাশাপাশি পণ্যটির বলিষ্ঠ চাহিদাও মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
আইসিইতে মে মাসে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড তুলা লেনদেন হচ্ছে ৯৪ দশমিক ৪২ সেন্টে। ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (এমসিএক্স) একই সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ক্যান্ডির (প্রতি ক্যান্ডিতে ৩৫৬ কেজি) মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ১৫০ রুপিতে। দেশটির সংকর-৬ জাতের রফতানি বাজার আদর্শ তুলা প্রতি ক্যান্ডি বেচাকেনা হচ্ছে ৫৭ হাজার ৯০০ রুপিতে।
ইউএসডিএ জানায়, চলতি মৌসুমে ভারত, চীন, পাকিস্তান ও তুরস্কের তুলা আমদানি কমে যেতে পারে। অন্যদিকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে রফতানিও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই