ফেব্রুয়ারিতে এফএওর খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক টানা সপ্তম মাসের মতো কমেছে। এর পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে প্রধান খাদ্যশস্যগুলো। এসব পণ্যের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। তবে চিনি ও মাংসের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়।
এফএওর মূল্যসূচক মূলত বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হওয়া খাদ্যপণ্যের দামের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে এ সূচকমান ছিল গড়ে ১১৭ দশমিক ৩ পয়েন্টে, আগের মাসে যা ছিল ১১৮ দশমিক ২ পয়েন্ট।
এফএওর তথ্যমতে, খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। মূলত দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় বড় পরিসরে ভুট্টা উৎপাদনের প্রত্যাশা এবং ইউক্রেনের ভুট্টার প্রতিযোগিতামূলক রফতানি মূল্য এক্ষেত্রে রসদ জুগিয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম জানুয়ারির তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় কমেছে ১১ শতাংশ। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় পর্যাপ্ত সরবরাহ দাম কমতে সহায়তা করেছে। এছাড়া সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের দামও পর্যাপ্ত রফতানির কারণে কমেছে।
তবে বিপরীত প্রবণতায় ছিল চিনি ও মাংসের বাজার। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে এফএওর চিনির মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে নতুন মৌসুমের উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ তীব্র আকার ধারণ করায় মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এছাড়া থাইল্যান্ড ও ভারতে উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাসও মিলেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই