দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার গতকাল দুপুরে দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘শনিবার থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গেল। ভোটারদের আস্থা অর্জনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার এবং নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন কেন্দ্রে এবং অঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনী আগে থেকে মোতায়েন করা হবে।’
প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দেবেন। এ ভোটারদের মধ্যে প্রায় দুই কোটি ভোটার প্রথমবার ভোট দেবেন। মোট সাড়ে ১০ লাখ ভোট কেন্দ্রে ৫৫ লাখ ভোটিং মেশিনের সাহায্যে এ ভোট গ্রহণ করা হবে বলে ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
রাজীব কুমার বলেন, ‘আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সাপ্তাহিক বৈঠক করবে কমিশন। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হবে এবং নির্বাচন চলাকালে বা তারপর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ভোটের তফসিল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, তিনটি রাজ্যে (পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশ) সাত দফায় ভোট হবে। উত্তর প্রদেশে সবচেয়ে বেশি, ৮০ আসন রয়েছে।
ভারতের দুটি রাজ্য মহারাষ্ট্র ও জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হবে পাঁচ দফায় এবং তিন রাজ্য ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে ভোট হবে চার দফায়। ২২ রাজ্যে ভোট হবে এক দফায়, দুই রাজ্যে তিন দফায় এবং চার রাজ্যে দুই দফায়।
পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম ও ওড়িশায়। এছাড়া ১৩ রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। কোনো বিধায়ক দল ছেড়ে যাওয়ায় বা কারো মৃত্যু হওয়ায় এসব আসন খালি হয়। পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এবং সপ্তম দফায় উপনির্বাচন হবে কলকাতার বরাহনগরে।
যেহেতু সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবে ১৭ জুন, তাই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ১৬ জুনের মধ্যে।
এমআই