১৯৯১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাংস আমদানি করছে জাপান। এবারের দাম বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের খরা পরিস্থিতি ও ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েন বিনিময় হারের পড়তিকে সামনে আনা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গরুর মাংসের দাম জাপানে কিলোগ্রামপ্রতি ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ২০০ ইয়েনের মধ্যে, যা মার্কিন মুদ্রায় ৭ দশমিক ১৩ থেকে ৭ দশমিক ৭২ ডলারের মতো। এ দাম ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর বর্তমানে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময় হারও সর্বোচ্চ।
জাপানে বিক্রি হওয়া গরুর মাংসের ৬০ শতাংশই আমদানি করা হয়। আমদানির ৪০ শতাংশই ব্যবহার হয় রেস্তোরাঁয়।
মার্কিন কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে গবাদি পশু ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজারটি, যা ১৯৫১ সালের পর সবচেয়ে কম। ২০১৪ সালেও খরার কারণে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যায়। তখনো গবাদি পশুর সংখ্যা কমে গিয়েছিল। একই সঙ্গে বলা হচ্ছে, খরার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে তৃণভূমি কমে আসছে। একই সঙ্গে গবাদি পশুর পালনও চক্রাকারে কমছে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৩ লাখ ৭০ হাজার টন গরুর মাংস আমদানি করেন জাপানের ব্যবসায়ীরা, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম। ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ রফতানি কমে ১২ লাখ ৬০ হাজার টন হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                