শনিবার (৩১ অক্টোবর) প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চতুর্থ সহসভাপতি পদের পুনঃনির্বাচনে সমন্বয় পরিষদের মহিউদ্দিন মহি ৬৭-৬৩ ভোটে হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে।
গত ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাফুফে নির্বাচনে প্রথম তিনটি সহসভাপতি পদে ফলাফল হলেও, সমান ৬৫টি করে ভোট পেয়ে টাই করেছিলেন সর্বশেষ কমিটির এ দুই সহসভাপতি। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন পুনঃভোটের জন্য ৩১ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
সে মোতাবেক আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১৩৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩০ জন উপস্থিত থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
তাবিথ আউয়াল এর আগে দুইবার সহসভাপতি ছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন। তবে এবার তিনি বাদ পড়ে গেলেন কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে। তাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সহসভাপতি নির্বাচিত হলেন মহিউদ্দিন মহি।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের এই কর্মকর্তা ২০১৬ সালের নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিন নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে সহসভাপতি হলেও, পরবর্তীতে তিনি সভাপতির মুখোমুখি হয়ে বাফুফের নানা অনিয়ম নিয়ে কথা বলেন। যে কারণে এবার তাকে প্যানেলে রাখেননি টানা চতুর্থবারের মতো সভাপতি হওয়া কাজী সালাউদ্দিন।
শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ এই সহসভাপতিসহ সাতটি পদে বিজয়ী হলো। এর আগে ৩ অক্টোবরের নির্বাচনে ১৫ সদস্যপদের মধ্যে ছয়টি পেয়েছিল সমন্বয় পরিষদ।
বাফুফের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি
সভাপতি - কাজী মো. সালাউদ্দিন
সিনিয়র সহসভাপতি- আবদুস সালাম মুর্শেদী
সহসভাপতি- ইমরুল হাসান, কাজী নাবিল আহমেদ, আতাউর রহমান মানিক ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহি।
সদস্য- জাকির হোসেন চৌধুরী, আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, বিজন বড়ুয়া, আরিফ হোসেন মুন, নুরুল ইসলাম নুরু, মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, টিপু সুলতান, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইলিয়াস হোসেন, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, মাহফুজা আক্তার কিরণ, হারুনুর রশিদ, আমের খান, সাইফুল ইসলাম ও মহিদুর রহমান মিরাজ।