আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুহন।
প্রসঙ্গত, সরকারের ৮০ জন সনিয়র সচিব/সচিব নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। আজ ১৬০টি পরিবারের ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনা গ্রহণের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যদিও করোনাভাইরাসের কারণে হয়ত অনেক কাজ থমকে গেছে। তারপরও আপনারা দেখেছেন, আমরা কিন্তু বসে নেই। এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও আমরা একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছায় আমরা সেই চেষ্টাও করে যাচ্ছি।
‘আমি মনে করি যারা আমাদের বিত্তশালী তারা যদি একটু যার নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যেকেই যদি অন্তত কিছু দুস্থ পরিবারের দিকে ফিরে তাকায়, কাউকে একটা ঘর করে দিল, তাদের কিছু কাজের ব্যবস্থা করে দিল, তাদের একটু সহযোগিতা করল। শুধু নিজে ভাল থাকবো। নিজে সুন্দও থাকব। নিজে আরাম আয়েশে থাকবো- আর আমার দেশের মানুষ, আমার এলাকার মানুষ তারা কষ্টে থাকবে, এটা তো মানবতা না, এটা তো হয় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি যারা যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন, আমি সকলকেই বলবো, চাকরিজীবী বলেন, ব্যবসায়ী বলেন বা যে যেখানেই আছেন, প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা যার যার নিজ নিজ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন, সেই স্কুলগুলোর উন্নয়নের জন্য একটু কাজ করেন বা আপনি যে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন, সেই গ্রামে যে কয়টা মানুষকে পারেন, সহযোগিতা করেন। সবাই মিলে সম্মিলিত কাজ করলে পরে এদেশের দারিদ্র্য থাকবে না।