স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এনবিআরের চেয়ারম্যান নিজেই। এছাড়া এনবিআরের ৩ জন সদস্য ও এনবিআরের সিস্টেম ম্যানেজার কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন।
স্টিয়ারিং কমিটি অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সিস্টেম ও তা বাস্তবায়নে যাবতীয় কার্যক্রম মনিটরিং করবেন। এই স্টিয়ারিং কমিটির কাছে সব অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস বা এপিআই টিম এবং সিস্টেম ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট টিম কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত রিপোর্ট করবে। এছাড়া কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা উইং এই স্টিয়ারিং কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এপিআই টিম-১ এ এনবিআরের সদস্য, কর কমিশনারসহ ৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। একইভাবে এনবিআর এপিআই টিম-২ এ ও টিম-৩ এ ৭ জন করে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে সিস্টেম ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট টিমে ১১ জন কাজ করবেন।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, করদাতারা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ পাবেন। যদিও বিভিন্ন ধরনের ত্রুটির কারণে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বন্ধ রেখেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
জানা গেছে, ভিয়েতনামের এফপিটি ইনফরমেশন সিস্টেম করপোরেশন নামের একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করেছিল। গত ৩ বছর যাবৎ এই অনলাইন সিস্টেম সচলও ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এনবিআরের অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ বন্ধ রয়েছে।
গত ৩ বছর অনেক করদাতা অনলাইনে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিলেও এবার সনাতন পদ্ধতিতেই তাদেরকে আয়কর জমা দিতে হচ্ছে।
২০১৬ সালের নভেম্বরে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজের রিটার্ন জমা দিয়ে অনলাইন ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ হাজারের মতো করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দিয়েছেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ হাজার ৮৪৮ জন অনলাইনে রিটার্ন জমা দেন। সর্বশেষ গত অর্থবছরে ৭ হাজার ২০৭ জন এ সুযোগ নিয়েছেন। প্রতিবছর গড়ে ২২ থেকে ২৩ লাখ করদাতা রিটার্ন জমা দেন। তবে অনলাইনে এক শতাংশের কম রিটার্ন পড়েছে।
অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ায় আগ্রহ বাড়াতে চলতি অর্থবছরে ২ হাজার টাকার বিশেষ কর ছাড় দেওয়া হয়। এতে করদাতাদের মধ্যে উৎসাহ বেড়ে যায়।