কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। কালবৈশাখীর আঘাতে গাছ ও ঘর ভেঙে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন ৪ জন। এছাড়া আহত শতাধিক। পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ির বিভিন্ন অঞ্চলসহ পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা ও ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান এলাকা।
নিহতরা হলেন- যোগেন রায় (৭০), দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ সরকার (৫২), সমর রায় (৬৪) এবং অনিমা রায় (৪৯)।
রোববার (৩১ মার্চ) শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও শুরু হয়। ঝড়ের সময় গাছ ভেঙে চাপা পড়ে ওই গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া একজন মারা যান। এছাড়া ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান এলাকায় ঘর ভেঙে চাপা পড়ে মারা যান একজন। এ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া কালবৈশাখীতে আরও দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আহত হয়ে শতাধিক মানুষ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ায় আজ বিকেলে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি এলাকায় বিপর্যয় নেমে আসে। মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, গাছ বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা ও ব্লক প্রশাসন পুলিশ, ডিএমজি এবং ইউআরটি দল বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে। ত্রাণ সরবরাহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন নিয়ম অনুযায়ী এবং লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি অনুসরণ করে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসন সব ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                