ঘরের মাঠে খুব ভালো শুরু করতে পারেনি লিভারপুল। উল্টো ক্লপের দলকে চাপে রাখে আতিথ্য নিতে আসা ওয়েস্ট হাম। এর সুফলও তারা পেয়ে যায় ম্যাচের ১০ মিনিটেই। সেটা অবশ্য লিভারপুলের রক্ষণের ভুলেই। ভার্জিল ফন ডাইকের পর চোটে পড়েছেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফাবিনিও। সব মিলিয়ে অনেকটাই দুবর্ল হয়ে পড়ে লিভারপুলের রক্ষণ। কিন্তু গোমেজ একটু বেশিই দুবর্লতা দেখিয়ে ফেলেন। হেড করে একটি বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ওয়েস্ট হামের মিডফিল্ডার পাবলো ফোরনালসের পায়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। অসাধারণ এক কিকে থালায় সাজানো বলটি জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ফোরনালস।
গোলটি হজম করে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ১৫ গোল খাওয়া প্রথম দল হয়ে যায় লিভারপুল। এই গোলটির পর দুটি পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ফুটবল বিশ্বে। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে প্রথম সাত ম্যাচে ১৫ গোল খাওয়ার পরও শিরোপা জেতা সর্বশেষ দল শেফিল্ড ইউনাইটেড। তারা এই কীর্তি গড়েছিল ১৯২৮-১৯ মৌসুমে। এবার কি তাহলে লিগ জিতবে লিভারপুল?
এই প্রশ্নের সঙ্গে আরও একটি হিসেব উঠে আসে। ডেভিড ময়েজের অধীনে প্রিমিয়ার লিগে প্রথমে এগিয়ে যাওয়া ১৮টি ম্যাচের একটিতেও হারেনি ওয়েস্ট হাম। এবারও কি তাই হচ্ছে? শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ৪২ মিনিটে সমতায় ফেরে লিভারপুল। ত্রাতা সেই মোহামেদ সালাহ। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মিসরের ফরোয়ার্ড। পেনাল্টিটি আদায় করেছেন নিজেই। বক্সের মধ্যে তাঁকে ফেলে দিয়েছেন ওয়েস্ট হামের মাসাউকু। ওয়েস্ট হামের এগিয়ে যাওয়া গোলেও অবদান ছিল তাঁরই।
সমতায় ফিরে ওয়েস্ট হামের রক্ষণের ওপর আরও বেশি চাপ তৈরি করতে থাকে লিভারপুল। সাদিও মানে, সালাহ ও জোতা মিলে একের পর এক আক্রমণ করে যান। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে ৮৫ মিনিটে। দুর্দান্ত এক গোল করে লিভারপুলকে জয় এনে দেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা জোতা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল। একই সঙ্গে একটি ক্লাব রেকর্ডও ছুঁয়েছে ক্লপের দল। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১—এই সময়ে বব পায়েসলির লিভারপুলের ঘরের মাঠে ৬৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে লিভারপুল।