বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণত তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করে থাকে। বিনিয়োগের আগে তারা কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যত সম্ভাবনা ও মুনাফা পরিস্থিতি বিবেচনা করে থাকে। কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগ যদি তাদের লাভজনক মনে হয় এবং নিরাপদ মনে হয়, তাহলেও তারা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উপর্যপুরি বিনিয়োগের কারণেই ইন্সুরেন্স খাতের শেয়ার দরে ও লেনদেনে রেকর্ড উল্লম্ফনের দেখা মিলছে। যে কারণে সাম্প্রতিককালে লেনদেনের সিংহভাগ জুড়েই থাকছে ইন্সুরেন্স খাতের শেয়ার। প্রতিদিনই শীর্ষ দর বৃদ্ধি এবং শীর্ষ লেনদেনের তালিকায় আধিপত্য চলছে ইন্সুরেন্স খাতের শেয়ারের। তালিকাভুক্ত ২০ খাতের মধ্যে ইন্সুরেন্স খাতেই লেনদেনই হচ্ছে মোট লেনদেনের ৪০ শতাংশের বেশি।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১৯টি ইন্সুরেন্সের শেয়ারে। এর মধ্যে ৭টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধনের ২ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশের বেশি। বাকি ১২টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে ১ শতাংশের উপরে বা নিচে।
যে ৭টি কোম্পানিতে ২ শতাংশের বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-বিজিআইসি ৮.১১ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স ৪ শতাংশ, কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স ২.৯৯ শতাংশ, ঢাকা ইন্সুরেন্স ২.৮৮ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স ২ শতাংশ।
অন্য ১৪টি কোম্পানির মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স ১.৪৭ শতাংশ, নিটোল ইন্সুরেন্স ০.৯৪ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স ০.৮৪ শতাংশ, ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্স ০.৭৬ শতাংশ, সান লাইফ ইন্সুরেন্স ০.৬২ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স ০.৫৭ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স ০.৫৬ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স ০.৪৭ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ইন্সুরেন্স ০.২৫ শতাংশ, তাকাফুল ইন্সুরেন্স ০.২৩ শতাংশ, সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স ০.২৩ শতাংশ, অগ্রণী ইন্সুরেন্স ০.১০ শতাংশ, সিটি ইন্সুরেন্স ০.১০ শতাংশ ও প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স ০.১০ শতাংশ।