বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলি করার পর বন্দুকধারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ হামলার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয়। কর্তৃপক্ষ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।
ফ্রান্সের নিস শহরের চার্চে ছুরিকাঘাতে তিনজনকে হত্যার পর এবার লিওন শহরে হামলার ঘটনা ঘটল।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করেন। ঘটনাস্থলে কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে ধর্মযাজকের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় চার্চ বন্ধ করছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, হামলাকারীর কাছে শটগান ছিল।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ও জরুরি সেবাকাজে নিয়োজিত কর্মীরা গেছেন। সাধারণ মানুষকে ওই এলাকায় না যেতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে লিওনের সরকারি কৌঁসুলি নিকোলাস জ্যাকে বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার সঙ্গে মিল রয়েছে এমন একজন সন্দেহভাজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে আটক করার সময় তাঁর কাছে অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিচয় বের করার চেষ্টা চলছে।
লিওনের মেয়র গ্রেগো ডুসে বলেন, ‘আমরা হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানি না।’
আহত ধর্মযাজকের নাম নিকোলাস কাকাভেলাকিস। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা গুরুতর। তাঁর পেটে দুবার গুলি করা হয়েছে।