শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছুতে একটা স্থবিরতা এসে গেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক আমাদের শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। সেটা শুধু আমাদের দেশে না, বিশ্বব্যাপী এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও আমরা সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাসগুলো চালাচ্ছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাই যার যার পড়াশোনা নিজেরাই করতে হবে। বাবা-মাও সেটা যেন দেখে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আবারও বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের একটা প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে দেখা দিচ্ছে। ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। যেকোনো কাজে সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন। আমি হয়তো মাস্ক ছাড়া বক্তব্য দিচ্ছি, কারণ আমার আশপাশে কেউ নেই। সবাই দূরে। সারাক্ষণ পরে থাকতে হবে তা নয়, কিন্তু যখন কারো সয্গে মিশবেন বা কোনো জনসমাগম বা মার্কেটে যাবেন তখন অবশ্যই মাস্ক পরে নিজেকে সুরক্ষিত করবেন এবং অপরকেও সুরক্ষিত করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে যারা আমাদের দেশে আসবেন তাদের পরীক্ষা করা, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা এটা আমাদের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা বন্দরে বন্দরে এখন থেকে আবার ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ ঢুকতে গেলেই করোনাভাইরাস ঢুকছে কি-না সেটা পরীক্ষা করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রিল্যান্সিং যারা করেন তারা যেন স্বীকৃতি পান, সে বিষয়ে আমরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের আইসিটি মন্ত্রণালয় সে বিষয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘বিয়ের বাজারেও ছেলে ফ্রিল্যান্সিং করে বললে বলে সেটা আবার কী? আমি এখানে মেয়ে বিয়ে দেব কেন? অনেক ক্ষেত্রে স্কুল- কলেজে ভর্তি নিতে চায় না। বলে, আপনার আয় তো নিয়মিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সারদের একটা অসুবিধা আছে সেটা আমি জানি। যেহেতু এখানে কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে না, সার্টিফিকেট নেই, স্বীকৃতি নেই, অনেক সময় অনেকে জিজ্ঞেস করে আপনি কী করেন? যদি বলে ফ্রিল্যান্সার অনেকেই বুঝতেই পারে না ব্যাপারটা কী। কেউ হয়তো এটার স্বীকৃতি দেয় না।’