পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে তারা পল্টনের বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্লাজার সামনে সমাবেশ শুরু করে।
এর আগে ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা এখানে জড়ো হতে শুরু করে।
বেলা ১১টায় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।
সমাবেশে হেফাজতের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রান্সের বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও ঘৃণা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ফ্রান্সের পণ্য বর্জন এবং বাংলাদেশ থেকে ফরাসি দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে হেফাজত কর্মীদের গুলশানে ফরাসি দূতাবাস ঘেরাওয়ের কথা রয়েছে।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-স্বাধীনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করেন। এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর স্যামুয়েলকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন।
স্যামুয়েল হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হয়েছে।