গতকাল রোববার দুপুরে মেহেরপুরের সদর উপজেলার কালিগাংনি গ্রামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়োজিত ‘গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ভার্চ্যুয়াল ওই বৈঠকে যোগ দেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। মজুত করে রাখা যায় না। সহজে মজুত করে রাখতে পারলে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট হতো না। বিশেষত কোল্ড স্টোরেজে মজুত করতে পারলে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট কমত, তবে সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যেতে পারে। সেই তুলনায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সহজতর ও অধিক সম্ভাবনাময়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনকে দ্রুত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, এই উচ্চফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজের চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজচাষিদের বীজ, উপকরণ, প্রযুক্তিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
স্বল্প সুদে পেঁয়াজচাষিদের কৃষিঋণ নিশ্চিত করতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে কমিটি করে দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলাজাতীয় ফসলের চাষে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের কৃষিঋণ দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলো এই কৃষিঋণ প্রকৃত কৃষক পান না। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কৃষিঋণ নিয়ে কৃষি বাদে অন্যান্য কাজে লাগান। কৃষিঋণ যাতে প্রকৃত কৃষক পান, পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলাজাতীয় ফসলের চাষে কাজে লাগে, তা কঠোরভাবে এসব কমিটির মাধ্যমে মনিটর করা হবে।