মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি দায়ের করেন।
কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মেসার্স পাওয়ার টেক ইন্টারন্যাশনাল মালিক আব্দুল আলীম, শিকলবাহা ১৫০ মে. ও. পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী ভুবন বিজয় দত্ত, নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড, রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) এ এইচ এম কামাল, নকশা ও পরিদর্শন পরিদপ্তর-১ এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তোফাজ্জেল হোসেন, পিডিবির অতি. প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবু ইউসুফ এবং চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক (নির্বাহী প্রকৌশলী) মিজানুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রতারণামূলকভাবে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলসির বিপরীতে ২ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বৈদ্যুতিক মোটর ক্রয় করে। অথচ দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পাম্পটির প্রকৃত বাজার মূল্য ৩০ হাজার ৮১ মার্কিন ডলার বা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬১ টাকা।
দুদক জানায়, আসামিরা অন্যায়ভাবে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের চরম লঙ্ঘন করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয়ে বৈদ্যুতিক মোটর কেনার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন। যা বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।