রমজান শেষে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই কৃষিপণ্যের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। আর আদার বড় অংশ আসে দেশের বাইরে থেকে। ডলারের দামের ওপর আদার দাম ওঠানামা করে। বাজারে দেশি ও আমদানি করা আদার দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকাল বুধবারের বাজারদরের তালিকানুযায়ী, বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি আদার দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারে আমদানি করা আদা বেশি দেখা যায়, যা ২০০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৯০ থেকে ২৪০ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে কেজিতে আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দামে অবশ্য গত এক সপ্তাহে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিদেশি রসুনের দাম এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি।
এদিকে কোরবানির ঈদের দুই মাসের মতো সময় বাকি থাকলেও এখনই রসুনের দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। কোরবানির ঈদ ঘিরে রসুনের চাহিদা বেশি থাকে। দেশি রসুনের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এবার দাম বেশি বলে অনেকের ধারণা।
টিসিবির তথ্যমতে, বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। গত বছরের এই সময়ে দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দামে অবশ্য গত এক সপ্তাহে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিদেশি রসুনের দাম এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি।
রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি আদার সরবরাহ তুলনামূলক কম। দেশি আদার দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা আমদানি করা আদাই কিনছেন বেশি। আর দেশি রসুনের চেয়ে দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতাদের কাছে আমদানি করা রসুনের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সময় গড়ানোর সঙ্গে রসুন শুকানোর ফলে ওজনে কমছে। এতে দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর আমদানি করা আদা ও রসুনের বাজার ডলারের দাম বেশি থাকায় গত বছরের চেয়ে দাম কিছুটা বেড়েছে।
আদা ও রসুনের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি রসুনের দাম ঈদের আগেও বেশ কম ছিল। তবে তখন দেশি রসুন কাঁচা ছিল। সময় গড়ানোর সঙ্গে রসুন শুকানোর ফলে ওজনে কমছে। এতে দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর আমদানি করা আদা ও রসুনের বাজার ডলারের দাম বেশি থাকায় গত বছরের চেয়ে দাম কিছুটা বেড়েছে।
কাফি
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                