সংস্থাটি বলছে, কোভিড-১৯ এর কারণে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নির্বাচনটি প্রতিযোগিতামূলক এবং ভালোভাবে পরিচালিত হয়েছে।
তারা বলছে, একইসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় গভীর রাজনৈতিক মেরুকরণ নীতিগত বিতর্ককে আড়াল করে ফেলেছে এবং পদ্ধতিগত কারচুপির ভিত্তিহীন অভিযোগকে সামনে নিয়ে এসেছে।
প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বিবৃতিতে ওএসসিই মিশন বলছে, পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ, বিশেষ করে বর্তমান প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে; সেটিও আবার নির্বাচনের রাতে। এ ধরনের বিষয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে জনগণের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বৃহস্পতিবারের ভোটের আগে পোস্টাল এবং আগাম ভোট নিয়ে শত শত মামলা হয়েছে। ডাকযোগে ব্যালট পোস্ট ও রিসিভ করার সময়সীমা এবং প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষরের বিষয়গুলো নিয়ে এসব মামলা হয়েছে।
বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত রাজ্যগুলো বলছে, জালিয়াতি কমিয়ে আনার জন্য বিধি-নিষেধ আরোপের দরকার ছিল। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা বলছে, সেগুলো ছিল নাগরিক অধিকার চর্চায় বাধা দেয়ার চেষ্টা।
নির্বাচনের রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্যে ভোটকে আমেরিকান জনগণের ওপর এক প্রতারণা বলে উল্লেখ করেছিলেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির এখন পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন, জর্জিয়া এবং মিশিগানে ভোট গণনা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
রাজ্যে ডেমোক্র্যাট শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার এই হুমকির পর মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত মীমাংসাকারী নাও হতে পারে।
তারা বলেছেন, নির্বাচনের দিন অথবা তার আগে প্রাপ্ত ব্যালটের গণনা বন্ধ করার জন্য ট্রাম্পের আবেদন অথবা নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার গতিপথ বদলে দিতে সক্ষম মিশিগান এবং পেনসিলভানিয়ার মতো তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ রাজ্যগুলোর বিরোধ আদালত নিষ্পত্তি করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট ডাকযোগের ভোটের বিরুদ্ধে নিজের সুর চড়িয়েছেন। কোনও ধরনের প্রমাণ দেখাতে না পারলেও এতে জালিয়াতি হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি; যা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ইতিহাসে বিরল।
স্থানীয় সময় বুধবার সকাল পর্যন্ত অনেক রাজ্যে ভোট গণনা অব্যাহত রয়েছে। এর মাঝেই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে হাজির হয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে মিথ্যা জয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন এখন পর্যন্ত ২৬৪ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, বিপরীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে জমা পড়েছে ২১৪টি।
ফল ঘোষণা হয়নি নেভাদা (৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট), পেনসিলভানিয়া (২০টি), নর্থ ক্যারোলিনা (১৫টি), জর্জিয়ায় (১৬টি) এবং আলাস্কায় (৩টি)। এই পাঁচ রাজ্যের চারটিতে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও নেভাদায় বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল।
অর্থসংবাদ/ এমএস