জমি দলিল ও নামজারির কাজ সমন্বয়ে ওই প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এখন দেশের ১৭টি উপজেলায় এই কাজ চলছে। তারা আশা করছেন, পর্যায়ক্রমে এক বছরের মধ্যে সারা দেশেই এটি হয়ে যাবে। এর ফলে মামলা ও অনিয়ম কমবে বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া সম্পত্তি বণ্টন ও নামজারির কাজটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। তবে এই কাজ শুরু হতে আরও পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দলিল করার আগেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি বা অ্যাসিল্যান্ড) কার্যালয় থেকে জমির তথ্য জেনে নেবেন সাবরেজিস্ট্রার। একইভাবে দলিলের পর তিনিই সেই তথ্য এসিল্যান্ডকে জানিয়ে দেবেন। তখন এসিল্যান্ড নামজারি করবেন।
বর্তমানে ভূমি দলিলের কাজটি হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে। আর নামজারির কাজটি হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের মাধ্যমে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই কাজে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে দুই দফতরের মধ্যে আন্তঃসংযোগ থাকবে। এর মাধ্যমে এখন দলিলের সময় ভূমি অফিস থেকে তথ্য জেনে নেবেন সাবরেজিস্ট্রার। আবার দলিলের পর সেটি এসিল্যান্ডকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সর্বোচ্চ আট দিনের মধ্যে নামজারি হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এই কাজ হবে। এসিল্যান্ড এটি ফেলে রাখতে পারবেন না।