২০২১ সাল থেকেই প্রাথমিক অপারেশনে যেতে চায় মহেশখালী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। আগামী মাসেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত তিনটি জেটিসহ নতুনভাবে তৈরি করা ১৫ কিলোমিটারের চ্যানেল বুঝে পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে করোনাকালীন স্থবিরতা কাটিয়ে আবারও পুরোদমে সচল হতে শুরু করেছে মহেশখালী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম, পূর্ণাঙ্গভাবে পুরো চ্যানেলটি আমাদের হস্তান্তর করবে আগামী বছর মে মাসের মধ্যে। এরপর থেকেই পুরোদমে চ্যানেলের কার্যক্রম শুরু করব কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট শুরু করব। আর বন্দরের কার্যক্রম ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে সম্পন্ন করব।
ব্যবসায়ীদের মতে, এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীক কেন্দ্র হিসেবে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মাদার ভেসেল (বড় বড় জাহাজ) এখান থেকে চীন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে সরাসরি চলাচল করতে পারবে। এতে নতুন ও উন্নত একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হবে।
তবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হলে কন্টেইনার পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। অবশ্য বন্দর কেন্দ্রীক নতুন সড়ক নির্মাণের জন্য প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের ১৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার যোগান দিচ্ছে জাইকা। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত অপারেশনে যাবে সমুদ্র বন্দরটি।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আজমীর হোসেন চৌধুরী বলেন, এ বন্দর ও চ্যানেলের চাহিদা বাড়বে, পাশাপাশি চ্যালেঞ্জও থাকবে। শুধুই দূরত্বের কারণে। কারণ এটা নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের একদম এক প্রান্তে। তাই পরিবহন খরচ বেড়ে যেতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসআর