বংশবিস্তার পদ্ধতি:
বীজ থেকে বংশবিস্তার করা সম্ভব। আবার গুটি কলম পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করা যায়।
টব:
হাসনাহেনা ফুল চাষের জন্য ২৫ সেমি উচ্চতার টব হলে ভাল হয়।
মাটি তৈরি ও সার প্রয়োগঃ
ভাল চাষের জন্য ভারী দোঁয়াশ মাটি হলে ভাল হয়। পরিমান মতো দো-আঁশ বা বেলে মাটি, এর সাথে একমুঠো হাঁড়ের গুঁড়ো, কিছুটা সুপার ফসফেট ও দু’মুঠো ছাই মিশিয়ে নিন। এতে টবের মাটি ভাল থাকবে। এর সঙ্গে কিছুটা পরিমান পাতা পচা সার, গোবর, খৈল ও কিছুটা টিএসপি সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করলে ভাল হয়।
পরিচর্যা:
মার্চের মাঝামাঝি বীজ পুঁতলে বর্ষাকালে ফুল পাওয়া যায়। সার হিসেবে চাপান সার বা তরল সার দিতে হবে। হাসনাহেনা গাছে জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গোড়ায় জল না জমে। মাসে দুবার মাটি খুঁচিয়ে দিতে হবে। মাটি যদি কোনো কারণে স্যাঁতস্যাঁতে হয়, তাহলে কলি ঝরে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে বর্ষায় যেন মাটিতে টব না রাখা হয়।ঝড়ে গাছের গোড়া নড়ে গেলে গাছ মরে যাওয়ার আশঙ্খা থাকে। তাই ঝড় ও মাটি বাহিত ছত্রাক থেকে গাছকে রক্ষা করতে হয়। গ্রীষ্ম কালে সকাল বিকেল জল দিতে হবে।
ডাল ছাঁটাই:
একটি সতেজ গাছ তৈরির প্রক্রিয়াটি হল গাছটি বড় হলে ডালের অনেকটা ছেটে দিতে হবে। অবশ্যই দেখবেন তার সিজনের ফুল দেওয়া শেষ হয়েছে কিনা। এরপর মঞ্জরীও ছেঁটে দিতে পারেন। এরপর কয়েকদিন পর কান্ডের পাশ থেকে শাখা বের হবে, তাদের মধ্যে কয়েকটি শাখা রেখে বাকীগুলি ছিড়ে ফেলুন। শীতকালের শেষে গাছের অর্দ্ধেক উচ্চতা থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে। সময়মতো গাছের গোড়ায় মাটি দিন। ছাঁটাই এর পরে চাউবান্টিয়া পেন্ট ব্যবহার করুন।
অর্থসংবাদ/এসআর