চুক্তির ফলে নাগরিকেরা খুব দ্রুতই সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন দোকানের ভাড়া, হাট-বাজার লিজের ফি প্রদান, বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্সের ফি প্রদান, সিটি করপোরেশন পরিচালিত স্কুলের টিউশন ফি প্রদান এবং বিল বোর্ডের ভাড়া প্রদান করতে পারবেন। খুব অল্প সময়েই এর সঙ্গে সকল ধরনের ট্রেড লাইসেন্সের ফি-ও এই তালিকায় যুক্ত হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির ফলে ‘নগদ’ এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশন এখন কারিগরি পরীক্ষা শুরু করবে। এরপরই সেবাটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আশা করি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে নাগরিকেরা অতি সহজেই কোনো রকম ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই ‘নগদ’-এর মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের সকল সেবার বিল ও ফি ডিজিটালি প্রদান করতে পারবেন। ‘নগদ’ এর এই সেবা নাগরিক পরিষেবা আরো স্বাচ্ছন্দময় করবে।
চুক্তির বিষয়ে ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান অপর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের জন্য সেবা প্রদান করবে, এটাই স্বাভাবিক। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে সিটি করপোরেশনের নাগরিকেরা ঘরে বসে তাদের বিভিন্ন ধরনের সেবার বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
‘নগদ’ যাত্রা শুরুর পর থেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে যাচ্ছে। যার ফলে ১০ হাজারেরও বেশি ই-কমার্সে খুব সহজেই ‘নগদ’-এর গ্রাহকেরা লেনদেন করতে পারেন। এ ছাড়া ঘরে বসে ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারে। মানুষের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে ‘নগদ’ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এসআর