২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। তখন রপ্তানি বাণিজ্যে জিএসপি সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকবে না, রপ্তানির জন্য এটা আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে উন্নত দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন আজ (১১ নভেম্বর) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত “হালাল পণ্যসহ সকল পণ্যের সার্টিফিকেশন সক্ষমতা ও হালাল পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য নতুন রপ্তানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। হালাল পণ্যসহ সকল পণ্যের সার্টিফিকেশন সক্ষমতা অর্জন ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর নিদের্শনা মোতাবেক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের বর্তমান রপ্তানি দশগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং বেসরকারি সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে। পেশা দারিত্বের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে গেলে আমরা হালাল পণ্যের বিশ্ববাজারে বড় অবদান রাখতে পারবো। আমাদের এজন্য করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। অনেক দেশ হালাল সার্টিফিকেশন অথরিটি গঠন করে কাজ করছে।
আমাদেরও এ সকল দেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ আছে। নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের পর্যাপ্ত হালাল পণ্য এবং দক্ষ জনবল রয়েছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা আরও দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে পারি। হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বিদেশস্থ দূতাবাসগুলোকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা সফল হব।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(আইআইটি) মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর রুমানা হক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং এ সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মতামত প্রদান করেন। কর্মশালায় বেশ কিছু সুপারিশমালা গ্রহণ করা হয়।
অর্থসংবাদ/এসআর