কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত মনিপুরি, হাই চয়েজ, নয়ন তারা, ফ্লক প্রিন্টসহ প্রায় ২৫ রকম ডিজাইনের চাদর তৈরি করছেন তারা। তবে, বন্যা ও করোনায় লাখ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
তাঁত মালিকরা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী লকডাউন ও সাম্প্রতিক বন্যায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শাল চাদর দেশে ঢুকে পড়ায় তারা বাজারে সুবিধা করতে পারেন না। তাদের আশা শিগগিরই করোনার আগের অবস্থানে ফিরতে পারবেন।
তাঁত শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন পর আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন তারা। আর এই কাজ শুরু হওয়ায় এখন অন্তত পরিবারের দৈনন্দিন খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হবে না বলে মনে করেন তারা।
তাঁত বোর্ড কর্মকর্তারাদের দাবি, তাঁতীদের স্বল্প পরিসরে ঋণ সহায়তা দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টার'র লিয়াজোঁ অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, বেশিরভাগ সময় ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া যায়। সেমি অটোমেটেড কারখানায় ১৩ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
জেলার বাসাইল, দেলদুয়ার ও মির্জাপুর উপজেলায় চাদর তৈরির তাঁত রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। এতে কাজ করেন ১১ হাজার শ্রমিক। প্রতি বছর প্রায় ২৫ কোটি চাদর উৎপাদন হয়।
অর্থসংবাদ/এসআর