মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের ওপর ‘২-সি’ স্প্যানটি বসানো হবে। ৩৭তম স্প্যানটি বসানো হলে বাকি থাকবে আর মাত্র চারটি। ৩৬তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে এটি।
সব কিছু অনুকূলে থাকলে বেলা ২টার মধ্যেই এসব কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে। গত মাসেও চারটি স্প্যান বসানো হয় সেতুতে। তবে প্রাকৃতিক কারণ ও কারিগরি জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়ালে আগামীকাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
প্রকৌশলী সূত্র জানায়, ৩৭তম স্প্যান ‘২-সি’ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত আছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় অনুকূল ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করবে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। এর পর সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে নির্ধারিত পিলারের কাছে যাবে।
পথিমধ্যে কোনো বাধা না দেখা দিলে সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। এর পর স্প্যানবহনকারী ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করার কাজ চলবে। এর পর সুবিধাজনক পজিশন করে পিলারের উচ্চতায় তোলা হবে স্প্যানটিকে। রাখা হবে পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর, যাতে দৃশ্যমান হবে সেতুর পাঁচ হাজার ৫৫০ মিটার।
সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতুর ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৩৬তম স্প্যানটি। ৩১ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তে ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর ৩৫তম স্প্যানটি বসানো হয়।
অর্থসংবাদ/এসআর