গতকাল রোববার রাজধানীর কর অঞ্চল-৬-এ অনলাইন আয়কর রিটার্ন দাখিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ট্যাক্সনেট বাড়ানোর প্রধান অন্তরায় হচ্ছে করদাতাদের ভয়। তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না বরং তাদের মধ্যে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে যে, ট্যাক্স দেয়া, রিটার্ন দেয়া মানেই মনে হয় একটা ঝামেলার মধ্যে পড়া। কিন্তু ট্যাক্স বা রিটার্ন দেয়া যে ঝামেলার বিষয় নয় এটা নিশ্চিত করা যাবে শুধুমাত্র আমূল সংস্কারের মাধ্যমে। সেটির একটি পদ্ধতি হলো অটোমেশন। করদাতারা যদি নিজের ঘরে বসে স্বাচ্ছন্দ্যে তার ট্যাক্স ক্যালকুলেশন করতে পারে, যে ট্যাক্সটা ধার্য হলো সেটা যদি সে পরিশোধ করতে পারে, তারপর উৎসে দেয়া ট্যাক্স থেকে যদি কোনো রিফান্ড থাকে সেটাও যদি সে ঘরে বসেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেয়ে যায়। তাহলে মনে হয় ট্যাক্স পেয়ারদের ট্যাক্স বা রিটার্ন সাবমিট করতে আর কোনো আপত্তি থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন,‘আমার মতে একজন স্বচ্ছল মানুষের জন্য আয়করের যে পরিমাণটা নির্ধারিত হয় সেটি তার জন্য পরিশোধ করা খুব কষ্টকর নয়। তবে তার জন্য কষ্টকর হলো এ পরিশোধের পদ্ধতিতে পরিশোধ করা। তবে এ জায়গাটায় আমরা সহজীকরণের চেষ্টা করছি। তারই অংশ হিসেবে রিটার্ন সাবমিটে আমরা অটোমেশনের দিকে যাচ্ছি। করদাতারা যেন নিশ্চিতে রিটার্ন জমা দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে আমরা কাজ করছি। আমরা আজকে যে উদ্বোধন করছি এটি বড় কোনো অর্জন নয়, এটি ক্ষুদ্র একটি চেষ্টা। অন্তত এটা দিয়ে আমরা অনলাইন রিটার্ন সাবমিশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করলাম। এটাকে উন্নত করব এবং এটার ওপরেই ভিত্তি করেই অন্যন্য জোনে এটা বাস্তবায়ন করব।’
রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আমরা এই বছরে আসলে একটু পিছিয়ে গেছি। আরও আগে করতে পারলে অন্য জোনগুলোতেও আমরা এই পদ্ধতি চালু করতে পারতাম। কিন্তু সামনের বছর আমরা অনলাইন রিটার্ন দাখিলে দৃঢ় প্রত্যয়ী। আগামী বছর সব কর অঞ্চলে সবাই অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সুবিধা পাবে। জোন-৬ যে সমস্ত ট্যাক্স পেয়ার রয়েছে এ বছর তারা এ সুবিধা পাচ্ছেন। আগামী বছর সব জোনে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
কর অঞ্চল-৬-এর কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদ হাছান বলেন, আমার কর অঞ্চলে ১ লাখ ৩৫ হাজার করদাতা আছেন। এর মধ্যে ৮০ হাজার ব্যাংক কর্মকর্তা। তারা এবার থেকে অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। তবে আমরা এখনো আপডেটের কাজ করছি। কিছু কিছু কাজ আমাদের এখনো বাকি আছে। সেগুলো আপডেটের কাজ চলছে। তবে আমরা আশাবাদী আমাদের কর অঞ্চলের সবাই এ সুবিধা পাবেন।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর