গত অক্টোবরে টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকু এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, টোকিওকে এশিয়ার শীর্ষ বাণিজ্যিক নগরী বানাতে চায়।
হংকংয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আকৃষ্ট করতে বেশকিছু প্রতিশ্রুতি রাখে টোকিও। এর মধ্যে রয়েছে জাপানে অস্থায়ী অফিস রাখার সুবিধা, কর রেয়াত, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো সহ আেো। নানা দিক থেকেই জাপান বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারত। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, সেখানে টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের মতো বড় একটি শেয়ারবাজার রয়েছে এবং সেখানে আগে থেকেই বিশ্বের অসংখ্য বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর পরও সেখানে যেতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পার হতে হয়। তাছাড়া টোকিওর বাইরেও অনেক আকর্ষণীয় গন্তব্য টোপ ফেলে রেখেছে। এতে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে টোকিওর আশাবাদ হয়তো হালে পানি পাবে না।
প্রথমত, জাপানের আয়কর আকাশচুম্বী। প্রতিদ্বন্দ্বী সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের আয়কর যেখানে ২২ শতাংশ ও ১৭ শতাংশ, সেখানে জাপানে আয়কর দিতে হয় ৪৫ শতাংশ। ইংরেজি ব্যবহারের স্বল্পতা আরো একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। তার সঙ্গে রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণে জাপানিদের অনীহা।
হার্ডওয়্যার ত্রুটির কারণে গত মাসে পুরোটা সময়ই বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল টোকিওর শেয়ারবাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ত্রুটির শঙ্কায় নতুন ব্যবসায়ীরা সেখানে আস্থা পাবেন না।
অবশ্য জাপানে ইউরোপীয় ব্যবসায় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ম্রোকজেক নতুন প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগার ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসবেন।
অর্থসংবাদ/ এমএস