বুধবার সকালে পুলিশ ওই বাড়ির পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে। বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার রাতে চুরি যাওয়া ওই নবজাতকের দাদা মো. আলী হোসেন খান বাদী হয়ে সোমবার রাতে মোরেলগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা করেন।
জানা গেছে, রোববার রাত ১১টার দিকে স্বামী- স্ত্রীর মাঝখানে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে তারা ঘুমিয়ে যান। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে তারা জেগে দেখেন শিশুটি বিছানায় নেই। তার বালিশটি খাটের নিচে পড়ে আছে। ঘরের দরজাও খোলা।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক কলহের কারণে শত্রুতাবশত ১৭ দিনের শিশুকে চুরির পর হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, শিশুটি চুরি হওয়ার পর বাড়ির পুকুরে একাধিকবার জাল ফেলাসহ বিভিন্ন উপায়ে খোঁজা হয়েছিল। তখন তার কোনো সন্ধান মেলেনি। ভোরে বাড়ির পুকুরে নবজাতকের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল বুধবার সকালে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর থেকে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১২:৪০/ ১১: ১৮: ২০২০