বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে নেটওয়ার্কটি।তারা ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টস থেকে ২০১৮ সালের সংগৃহীত উপাত্ত মূল্যায়ন করেছে। এছাড়াও তারা প্যারিসভিত্তিক অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের ‘করস্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত লাভে এগিয়ে আছে বিভিন্ন কোম্পানি ্ও বহুজাতিক করপোরেশনগুলো।
টিজেএন তাদের গবেষণার উপসংহারে বলেন, আন্তর্জাতিক করপোরেট কর এবং ব্যক্তিগত কর ফাঁকির কারণে বিভিন্ন দেশ প্রতি বছর ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার খোয়াচ্ছে। তারা বলছে, যে পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে, তা বিশ্বের ৩ কোটি ৪০ লাখ নার্সের বেতনের সমপরিমাণ।
টিজেএনের হিসাবে, বিভিন্ন কোম্পানি যে পরিমাণ কর ফাঁকি দিচ্ছে, তার পরিমাণ হচ্ছে ২৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যক্তি যে কর ফাঁকি দিয়েছে, তার পরিমাণ ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে, বহুজাতিক করপোরেশনগুলো করস্বর্গের মাধ্যমে ১ দশমিক ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার মুনাফা পাচার করছে। বিভিন্ন করস্বর্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ের ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি কর ফাঁকির শিকার হচ্ছে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সমৃদ্ধ দেশগুলো। কর ফাঁকির সবচেয়ে বেশি অর্থ জমা হয়েছে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন দ্বীপ কাইম্যান দ্বীপপুঞ্জে। অন্যান্য ব্রিটিশ ওভারসিস দ্বীপপুঞ্জের পাশাপাশি শীর্ষ করস্বর্গের মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ। এছাড়া নিম্ন করের মার্কিন রাজ্য ডেলাওয়ারের পাশাপাশি হংকংয়েও সেগুলো জমা হচ্ছে।
টিজেএনের শীর্ষ নির্বাহী অ্যালেক্স কোবহাম বলেন, করপোরেট জায়ান্ট ও নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রণাধীন করস্বর্গগুলোর চাপের কারণে আমাদের সরকারগুলো বৈশ্বিক কর ব্যবস্থায় ধনী করপোরেশন ও বিত্তশালী ব্যক্তিদের আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের চেয়ে বেশি মূল্যায়ন করে।
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১১: ৫৭ / ১১: ২১: ২০২০