এ অবস্থায় দরিদ্র দেশগুলো যেন জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে বেশি নজর দিতে পারে, সে লক্ষ্যে তাদের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জি২০ দেশগুলো। আর এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে চীন।
সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী লিউ বলেন, চীনের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি ও এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যাংক অব চায়না মিলে এরই মধ্যে ২৩টি দেশের ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে, যার মোট পরিমাণ প্রায় ১৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এছাড়া চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের ৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়েছে।
অবশ্য দরিদ্র দেশগুলোর কাছে চীনের যে পরিমাণ পাওনা রয়েছে, তার তুলনায় এই ২১০ কোটি ডলার খুবই সামান্য। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালে জি২০ দেশগুলোর কাছ থেকে দরিদ্র অর্থনীতিগুলোর নেয়া ঋণের মোট পরিমাণ ১৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যার ৬৩ শতাংশ পাওনা রয়েছে চীনের। অর্থাৎ চীনকে ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে দরিদ্র দেশগুলোকে।
২০২১ সালে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোকে মোট ৩ হাজার ৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে, যার ৩৩ শতাংশের পাওনাদার চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি ও এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যাংক অব চায়না। এছাড়া ১০ শতাংশ ঋণের পাওনাদার চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
লিউ আরো বলেন, উদীয়মান অর্থনীতি, বিশেষ করে যারা মহামারীর কারণে সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে, তাদের আরো বেশি আর্থিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীন। সূত্র রয়টার্স।
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১৩: ২৭/ ১১: ২১: ২০২০