অক্টোবরে ব্রিটেনকে ২ হাজার ২৩০ কোটি পাউন্ড ঋণ করতে হতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। তবে বাস্তবে এর পরিমাণ কিছুটা কমই ছিল। সেপ্টেম্বরেও প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে কম ঋণ করেছে যুক্তরাজ্য। তবে সব মিলিয়ে সাত মাসে মোট ঋণের পরিমাণ ছয় দশকের সর্বোচ্চের প্রায় কাছাকাছিতে উন্নীত হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে যে ৪০ হাজার কোটি পাউন্ড ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার, তা দেশটির অর্থনীতির আকারের অনুপাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ।
২৫ নভেম্বর ঋণসংক্রান্ত নতুন পূর্বাভাস প্রকাশ করবে অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি। এ সময়ে আগামী অর্থবছরের জন্য নতুন ব্যয় পরিকল্পনারও ঘোষণা দেবেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
ব্রিটিশ সরকার এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে স্নায়ুযুদ্ধের পর সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় বৃদ্ধির অনুমোদন দিতে যাচ্ছে তারা। এদিকে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শিক্ষক ও পুলিশের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋষি সুনাক।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে, অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের সরকারি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার কোটি পাউন্ড, যা দেশটির বার্ষিক অর্থনৈতিক উৎপাদনের ১০০ দশমিক ৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ১০১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ১৯৬০-৬১ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ। তৃতীয় প্রান্তিকে যদি ব্রিটিশ অর্থনীতি শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়, তবে জিডিপির বিপরীতে ঋণের অনুপাত কিছুটা কমবে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ঋণ অনুপাত বেড়ে যাওয়ার কারণে অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, ঘাটতি মোকাবেলায় ব্রিটেনকে হয়তো মহামারী-উত্তর সময়ে করের পরিমাণ বাড়াতে হতে পারে।
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১৬: ৩২/ ১১: ২২: ২০২০