এ বিষয়গুলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নজরে আনলে তিনি অর্থসংবাদকে এ বিষয়ে বিএসইসির অবস্থান পরিস্কার করেন। তিনি অর্থসংবাদকে জানিয়েছেন,পাঁচটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোন সিরিয়াল ট্রেডিং হয়েছে কিনা সে বিষয়গুলো দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অলরেডি এবিষয়গুলোও চিহ্নিত করতে পেরেছে তদন্ত কমিটি। এখানে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ভয়ের কোন কারন নেই। একই সঙ্গে ইন্সুরেন্সের শেয়ারের ক্ষেত্রেও। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদেরকে একটি শ্রেনীর মানুষ ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে,যা ভিত্তিহীন।
ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, এবিষয়ে বিএসইসি আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন গুজব এবং ভিত্তিহীন। সাধারন বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয় এমন সিদ্ধান্ত কোন অবস্থাতেই নেবে না বিএসইসি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর পাঁচটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি গঠন করে।বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. নান্নু ভূইয়াকে এ কমিটি সদস্য করা হয়।৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে ফান্ডগুলো হলো- সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ড, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ এবং প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।