বারাক ওবামার আমলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দ্বিতীয় শীর্ষ কর্তাব্যক্তি হিসেবে কাজ করেছেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ছিলেন। এ ছাড়া একই প্রশাসনে তিনি উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও ছিলেন। সেই প্রশাসনে বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন ব্যক্তি অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
রয়টার্স বলছে, অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে মনোনয়নের বিষয়ে বাইডেনের ট্রানজিশন টিম কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় নেতৃত্বের ভূমিকা নেওয়ার পক্ষে ৫৮ বছর বয়সী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তা না হলে চীনের মতো প্রতিপক্ষ দেশ এই ভূমিকা নিয়ে নেবে বলে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছেন তিনি।
অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কাজের ধরন সম্পর্কে পরিচিত লোকজন তাঁকে ‘কূটনীতিকদের কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, তিনি সুচিন্তিত মানুষ। তিনি তুলনামূলক মৃদুভাষী। তবে পররাষ্ট্রনীতির খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কে তিনি খুবই অভিজ্ঞ ও ঝানু।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার পর্বে বাইডেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
দীর্ঘদিন ধরে বাইডেনের পাশে থেকে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে তাঁর যে অগাধ আস্থা তিনি অর্জন করেছেন, তারই পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১২: ৫৮/ ১১: ২৩: ২০২০