বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ হতে উদ্ভূত সঙ্কট মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী একটি সামগ্রিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে। এর আওতায় সামাজিক সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্বলিত মোট ১ লাখ ২০ হাজার ১৫৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, যার বাস্তবায়ন বর্তমানে চলমান রয়েছে। সরকারের নেয়া এ প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির একটি হালচিত্র অর্থ বিভাগের উদ্যোগে গত ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে সভায় এ যাবৎ গৃহীত কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করা হয় বিষয়টি প্রচারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
প্রথম মতবিনিময় সভাটি হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। সভার প্রতিপাদ্য কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনীতির সামগ্রিক চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।
দ্বিতীয় মতবিনিময় সভাটি হবে ৩ ডিসেম্বর। সভার প্রতিপাদ্য কর্মসৃজন ও গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সর্বশেষ তৃতীয় মতবিনিময় সভাটি হবে ১০ ডিসেম্বর। সভার প্রতিপাদ্য সামাজিক সুরক্ষার আওতা সম্প্রসারণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য বরাদ্দ দেন ২০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এই খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলো সেভাবে এগিয়ে না আসলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ বাস্তবায়নে শক্ত অবস্থান নেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১৪: ৩৭/ ১১: ২৩: ২০২০