বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, এ ভাইরাসে মৃত্যুর হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জনে। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৯০ জন। একদিনের ব্যবধানে আরও ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত ৪২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে।
এদিকে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ফিলিপাইন এবং হংকংয়ে। ফিলিপাইনে মৃত ওই ব্যক্তির বয়স ৪৪ এবং হংকংয়ের বাসিন্দা লোকটির বয়স ৩৯। সম্প্রতি তারা উভয়েই উহান থেকে ফিরেছেন। ফিলিপাইনে মৃত ওই ব্যক্তি ২৫ জানুয়ারি থেকে ম্যানিলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এ ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াসস ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছেন।
জানা যায়, করোনা ভাইরাসে চীনে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে হুবেই প্রদেশে। এই প্রদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষকে অন্য অঞ্চল থেকে আলাদা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চীনের সবগুলো প্রদেশ ছাড়াও অন্তত ২০টি দেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ রোগ মানুষের মাধ্যমেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে চীন থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।