বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে হার মানতে না চাওয়া এই স্বাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা মহামারীকালীন অভিনব উপায়ের সন্ধান করেছেন নিজের ব্যবসাকে সচল রাখতে, এমনকি তারা যখন দোকানের দরজা খুলতে পারছিল না তখনো। আর সেটি হয়েছিল ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাধ্যমে। গত আট মাস বা তার বেশি সময় ধরে তারা নতুন অনলাইন স্টোরগুলো চালু করে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে নিজেদের পণ্য বিক্রি করে। সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে এটি ছিল স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। ই-কমার্স ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই অনুমতি দিয়েছিল নিরাপদে থাকতে এবং আদান-প্রদানের সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে।
কেবল ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেই নয়, নভেল করোনাভাইরাস প্রভাব ফেলেছে বিগ বক্স স্টোর এবং ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও সাইবার মান্ডের মতো চিরায়ত ব্যবসায়িক উদযাপনের ধারণায়ও। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বড় শপিং সেন্টারে ছুটির দিনগুলোয় প্রচলিত বড় ভিড়গুলো এড়ানোর কথা বলছেন। ওয়েফেয়ার, বেস্ট বাই, ওয়ালমার্ট ও টার্গেটের মতো রিটেইলাররাও অনলাইনের বেচাকেনার ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন এবং শপিং মৌসুম শুরুর আগেই তারা পোস্ট করতে শুরু করেছেন।
তবে অনলাইন ব্যবসা এমন নয় যে চাইলেই পরিচালনা করা যায়। অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নেয়াও বড় চ্যালেঞ্জ, সেই সঙ্গে গ্রাহকদের আস্থা পাওয়াও রয়েছে। তবে ব্যবসা মালিকরা বলছেন, তারা কেবল এর সঙ্গে মানিয়েই নিচ্ছেন না, এই মানিয়ে নেয়া হয়তো তাদের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক মডেলের একটা সংযোজনও।
অনেক খাবারের দোকান ও খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এই করোনাকালে ব্যবসাকে নতুন করে সাজিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে লকডাউনে রেস্টুরেন্টগুলো নিজেদের আঙ্গিনায় খাওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল, তখন এই অ্যাপসনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভর করে ছিল অনেকে। তবে এর পরও অনেকের মাঝে সংশয় ছিল খাবার বহনকারীর কাছ থেকে সংক্রমিত হওয়ার। এসব বিষয় মাথায় রেখেই অনেক প্রতিষ্ঠান কন্টাক্টলেস সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই নতুনত্ব গ্রহণই বিশ্বব্যাপী লাখো ছোট-বড় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীকে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
গ্রিনভিলের তেমনই এক ব্যবসায়ী ইডি বাফিংটন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবেই সামনের দিনগুলোয় এটি ব্যবহার (অনলাইন ব্যবসা) করতে যাচ্ছি। এটাকে আমরা বাড়তি উপায় হিসেবে ব্যবহার করব।’
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১০: ১৭/ ২৭: ১১: ২০২০