কেপটাউনের ম্যাচে ফাফ ডু প্লেসির হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১৭৯ রান। কঠিন এই লক্ষ্য সফরকারী ইংল্যান্ড বেয়ারস্টো ঝড়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪ বল আগেই টপকে যায়। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেল ইংলিশরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রোটিয়ারা শুরুতে তেম্বা বাভুমার (৫) উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শক্ত ভিত পায়। অধিনায়ক কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ডু প্লেসি বাড়িয়ে নেন দলের রান। ডি কক ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করে ফেরেন। তবে ডু প্লেসি পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। প্রোটিয়াদের সাবেক অধিনায়ক ৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলে যান ৫৮ রানের ইনিংস। এরপর রাসি ফন ডের ডুসেন ২৮ বলে ৩ ছক্কায় করেন ৩৭। হেনরিখ ক্লাসেন ২০ ও জর্জ লিন্ডে ১২ রান করলে বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
ইংলিশদের সবচেয়ে সফল বোলার স্যাম কারেন। বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন জোফরা আর্চার, টম কারেন ও ক্রিস জর্ডান।
১৮০ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই ইংল্যান্ড হারায় জেসন রয়ের (০) উইকেট। আরেক ওপেনার জস বাটলারও (৭) ব্যর্থ। খানিক পর আশা জাগিয়ে ডেভিড মালান (১৯) প্যাভিলিয়নে ফিরলে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ওই জায়গা থেকে লড়াই শুরু বেয়ারস্টোর। যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন বেন স্টোকসের কাছ থেকে। এই অলরাউন্ডার ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৩৭ রান। অধিনায়ক ইয়োন মরগান করেন ১২ রান।
তারা বিদায় নিলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন বেয়ারস্টো। চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে খেলেন হার মানা ৮৬ রানের ইনিংস। ম্যাচজেতানো ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায়। তার সঙ্গে ইনিংস শেষ করেছেন স্যাম কারেন, ৩ বলে ৭* রান করে।
ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার লিন্ডে। এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। তার মতো ২ উইকেট নিতে লুঙ্গি এনগিদি খরচ করেছেন ৩১ রান।
অর্থসংবাদ/ এমএস