সম্প্রতি ডা. লি ওয়েনলিয়েং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার মৃত্যু এবং চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে।
চীন সরকার বলছে, ওই চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসক ওয়েনলিয়েং যে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, সে ঘটনায় তাকে হয়রানির অভিযোগও তদন্ত করে দেখা হবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বাইরে ২৭টি দেশে তিনশ ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া দেখে বিবৃতি প্রকাশ করেছে চীন সরকার।
চীনের নাগরিকদের অভিযোগ, কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা রোগের প্রকোপ, রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়া, বিপজ্জনক ভোক্তা পণ্য বা আর্থিক জালিয়াতির বিষয়ে মিথ্যা কথা বলে বা আড়াল করে রাখে।
সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ চলছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত চীনে মৃতের সংখ্যা সাতশ ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
জানা গেছে, রোগীর দেহ থেকে করোনাভাইরাস শনাক্ত করেন ৩৪ বছর বয়সী চিকিৎসক ওয়েনলিয়েং। এরপর তিনি সতর্কবার্তা দেন। তারপরই তাকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আবার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, চিকিৎসক ওয়েনলিয়েংয়ের মৃত্যু এটা জানিয়ে দেয় যে, স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চীন সরকার কিভাবে চাপা দিয়ে রাখে।