তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্রেক্সিট পররর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ব্রিটেনের আগ্রহে বাংলাদেশ উৎসাহবোধ করছে। নতুন উদ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সঠিক পথে পরিচালনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জরুরি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই দু’দেশের মধ্যে (জি টু জি) বাণিজ্য বৈঠকের আয়োজন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতসহ বেশ কিছু দেশ সেখানে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীগণ এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনে সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-বৃটেন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। এ সময় বৃটেন বাংলাদেশকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি। বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ এবং এফটিএ করে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বৃটেন সহযোগিতা করছে সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বৃটেনে পড়া লেখা করেন। অনেকেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য বৃটেনে যান। অনেকেই ইচ্চা থাকার পরও আর্থিক কারনে সেখানে যেতে পারেন না। বৃটেন বাংলাদেশে একটি বিশ^মানের বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তুললে বাংলাদেশের আরও অনেক শিক্ষার্থ সেখানে পড়ালেখা করার সুযোগ পাবে।
ঢাকায় নিযুক্ত বৃটেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রেক্সিট পররর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃটেন বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের সাথে বৃটিশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের সাথে বৃটেনের চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে এবং আগামীতে তা আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃটেন বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দেয়।